ঢাকা , বৃহস্পতিবার, ০৫ ডিসেম্বর ২০২৪ , ২০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বুড়িচংয়ে শীতে বেড়েছে লেপ-তোশকের দাম!


আপডেট সময় : ২৫-১১-২০২৪ ০৮:৩১:৪৫ অপরাহ্ন
বুড়িচংয়ে শীতে বেড়েছে লেপ-তোশকের দাম! বুড়িচংয়ে শীতে বেড়েছে লেপ-তোশকের দাম!



মোঃ আবদুল্লাহ বুড়িচং (কুমিল্লা) প্রতিনিধি।। 

কুমিল্লার বুড়িচংয়ে শীতে  লেপ-তোশকের দোকানগুলোতে বেড়েছে ভিড়। কারিগরদের মধ্যে ফিরে এসেছে কর্মচাঞ্চল্য। সকাল থেকে রাত পর্যন্ত ব্যস্ত সময় পার করছেন কারিগরেরা।

অনেকে কারিগর আবার ব্যস্ত পুরনো লেপ-তোষক মেরামতে। প্রকৃতির নিয়ম অনুযায়ী পৌষ ও মাঘ মাস শীতকাল। তবে বাংলাদেশে কার্তিক ও অগ্রহায়ন মাসের মাঝামাঝি দিক থেকেই শীতের আগমনী বার্তা শুরু হয়। তাই শীত মোকাবিলায় আগাম প্রস্ততি হিসাবে ব্যবসায়ীরা গ্রাহকের চাহিদা অনুযায়ী লেপ-তোষক তৈরি করে দোকানে মজুদ করে রাখছেন।

উপজেলার সদর বাজার, কংশনগর বাজার, কালিপুর বাজার, নতুন বাজার, ভরাসার  বাজার’সহ বিভিন্ন গ্রামের হাট-বাজারে মানুষ তীব্র শীতের আশঙ্কায় নতুন লেপ-তোশক তৈরি করতে ভিড় করছেন।

এসব পণ্য বছরের অন্য সময় বেচাকেনা কম হলেও শীত মৌসুমে বিক্রি কয়েক গুন বেড়ে যায়। কম্বলের তুলনায় বাজারে লেপের দাম কম হওয়ায় চাহিদা একটু বেশি। তুলা পিটিয়ে তা রং-বেরঙের কাপড় দিয়ে তৈরি লেপ-তোশকের কাভারে মুড়িয়ে সুই-সুতার ফোঁড়ে তৈরি করছেন কারিগরেরা।

উপজেলার সদর বাজারের লেপ-তোশক তৈরির কারিগর মোঃ বিল্লাল বলেন, বিত্তবানরা শীতের আগেই নতুন লেপ ও তোশক তৈরি করেন। অনেকেই পুরোনো লেপ-তোশকের কভার পাল্টিয়ে নিচ্ছেন। অগ্রহায়ণ মাসে এ সময় রাতে শীত পড়তে শুরু করায় কাজের চাপ অনেক বেড়েছে।

তিনি আরো বলেন, তুলার মান ও পরিমাণের ওপর নির্ভর করে লেপ-তোষক তৈরির খরচ। এ বছর জিনিসপত্রের দাম অনেকটা বেশি থাকায় স্বাভাবিকভাবেই লেপ-তোশক তৈরিতে খরচ একহাজার টাকা থেকে শুরু করে দেড়হাজার টাকা পর্যন্ত। আর একটি লেপ- তোষক তৈরি করলে তাদের ৩শ থকে ৫শ টাকা লাভ হয়। 

নতুন বাজারে কথা হয় ক্রেতা সুমনের সাথে তিনি বলেন, গত বছরের চেয়ে এবার লেপ-তোশকের দাম একটু বেশি। গত এক সপ্তাহ থেকে শীত অনুভূত হওয়ায় লেপ কিনতে এসেছেন। তবে এবারে লেপের জন্য তুলার দাম গত বছরের চেয়ে ৫০ থেকে ৬০ টাকা বেশি।

কংশনগর বাজারে লেপ-তোশক বানাতে আসা পাপিয়া সুলতানা টিনা বলেন, ‌এবার আগেভাগেই শীত পড়েছে। এর ওপর বাড়িতে থাকা লেপ-তোশক নষ্ট হয়ে গেছে। তাই লেপ-তোশক ও বালিশ বানাতে এসেছি। কিন্তু দোকানে এসে দাম শুনে অবাক হলাম। শিমুল তুলার কেজি ৫০০ টাকা, ফাইবার তুলা ২৮০টাকা এত দাম দিয়ে লেপ-তোশক বানানো সবার পক্ষে সম্ভব না। তুলার দামটা যদি কম হতো তাহলে সবার সুবিধা হতো।

মফিজ বেডিং এর মালিক হান্নান  জানান, সাদা তুলা প্রতি কেজি ১৫০ থেকে ২০০ টাকা এবং রঙিন তুলা ৫০ থেকে ৮০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। গত বছর সাদা তুলা ৮০ টাকা এবং রঙিন তুলা ৪০ টাকা, শিমুল তুলা প্রতি কেজি ৪৫০ থেকে ৬০০ টাকা, কার্পাস তুলা প্রতি কেজি ৩০০-৩৫০ টাকা।



 

নিউজটি আপডেট করেছেন : Banglar Alo News Admin

কমেন্ট বক্স

প্রতিবেদকের তথ্য

এ জাতীয় আরো খবর

সর্বশেষ সংবাদ